ট্রাম্পকে ‘গণতন্ত্রের হুমকি’ বললেন কমলা, ঈশ্বর পথ দেখিয়েছেন বললেন ট্রাম্প
মাত্র দুই সপ্তাহ পর ভোট। ভোটারদের মন জয় করতে শেষ মুহূর্তে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উভয় প্রার্থী নিজের ও দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানোর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। গতকাল সোমবার মধ্যপশ্চিমের তিনটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চালান কমলা। আর নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচার চালান।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে নানা মন্তব্য করেন কমলা। তিনি বলেন, ট্রাম্প গণতন্ত্রের হুমকি। আর ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে বলেছেন, তিনি যেখানে আছেন সেখানে ঈশ্বর তাঁকে পথ দেখিয়ে এনেছেন।
কমলা রিপাবলিকান পার্টির সাবেক আইনপ্রণেতা লিজ চেনিকে নিয়ে মধ্যপশ্চিমের তিনটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তিনি ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’।
ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে কমলা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর বয়স ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনে সক্ষম হওয়ার মতো সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলছেন। তিনি মাঝেমধ্যেই ট্রাম্পকে ‘অস্থির’ অথবা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলছেন। ট্রাম্পের ‘মেজাজ’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ট্রাম্পের বয়স ৭৮ বছর।
সোমবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে কমলা বলেন, ‘অনেক, অনেকভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। কিন্তু তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায়ই তাঁকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করলেও ট্রাম্প বারবার তা অস্বীকার করেছেন। বরং ডেমোক্রেটিক পার্টিকে তিনি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলেছেন।
এদিন নর্থ ক্যারোলাইনায় ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখন বুঝতে পারি, আমি আজ যেখানে ঈশ্বর আমাকে সেখানে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন।’
ট্রাম্প ভোটের প্রচারের শেষ দিকে এসে ক্যাথলিক, খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক এবং ইহুদিসহ ধর্মে বিশ্বাসী আমেরিকানদের মন জয় করতে চাইছেন।
জনমত জরিপগুলোতে এখনো কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হন কমলা।
শেষে সময় এসে উভয় প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণার গতি বাড়িয়েছেন। তাঁরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দলের ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে চাইছেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সময় এই ছোট ছোট দলের ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেন।