‘ভিউ’ পাওয়ার জন্য উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ইউটিউবারের কারাদণ্ড
ইউটিউবে ভিউ পেতে কতজন কত কিছুই করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক ইউটিউবার এ ক্ষেত্রে হয়তো সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। ভিউ পাওয়ার জন্য তিনি নিজের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত করেন। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
ইউটিউবারের নাম ট্রেভর জ্যাকব। বয়স ৩০। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যায়, সেলফি স্টিক হাতে তিনি উড়োজাহাজ থেকে প্যারাস্যুটে করে নিচে নামছেন। ভিডিওতে তিনি এই ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন যে এটি দুর্ঘটনা ছিল এবং নিজের জীবন রক্ষায় তিনি প্যারাস্যুটে করে দ্রুত নেমে যান।
উড্ডয়নের ৩৫ মিনিটের মাথায় ক্যালিফোর্নিয়ার লস পাদ্রেস জাতীয় উদ্যানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজ থেকে লাফানোর সময় ক্যামেরায় এর ভিডিও ধারণ করেন তিনি। এরপর ২৩ ডিসেম্বর ‘আই ক্রাশড মাই এয়ারপ্লেন’ শিরোনামে এর ভিডিওটি তিনি ইউটিউবে পোস্ট করেন।
ভিডিওটি একপর্যায়ে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তার আগে ভিডিওটি ৩০ লাখবার দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ইউটিউবে দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত করেছিলেন ট্রেভর জ্যাকব। এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি তদন্তকারীদেরও মিথ্যা বলেছেন।
আদালতে দায় স্বীকার করে জ্যাকব অবশ্য দাবি করেছিলেন, একটি পণ্যের প্রচার চালানোর জন্য চুক্তি করেছিলেন তিনি। তারই অংশ হিসেবে এভাবে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ভিডিও ধারণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত জ্যাকবকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেডারেল সরকারের কৌঁসুলিরা এদিন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে হইচই ফেলে দেওয়া, সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও এর মাধ্যমে অর্থ আয় করার পরিকল্পনা থেকে জ্যাকব এ অপরাধ করেছেন বলে তাঁদের ধারণা। সে যা-ই হোক, এ ধরনের দুঃসাহসী কোনো কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া বা সহ্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।