ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের সহপ্রতিষ্ঠাতাকে শিক্ষামন্ত্রী করছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রানজিশন টিমের (ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক দল) কো–চেয়ার লিন্ডা ম্যাকমোহনকে দেশটির পরবর্তী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
লিন্ডা ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) সাবেক নির্বাহী। স্বামী ভিন্স ম্যাকমোহনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট গড়ে তোলেন।
বিবৃতিতে ট্রাম্প ট্রানজিশন টিমের কো-চেয়ার হিসাবে লিন্ডা ম্যাকমোহনের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ম্যাকমোহন ‘দুর্দান্ত’ কাজ করছেন।
ট্রাম্পের বিশ্বাস লিন্ডা ম্যাকমোহন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ‘ইউনিভার্সাল স্কুল চয়েস’ ধারণাকে ছড়িয়ে দিতে প্রশংসনীয় কাজ করবেন। মা-বাবাদের তাঁদের পরিবারের শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ব্যাপারে দক্ষ করে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি।
‘ইউনিভার্সাল স্কুল চয়েস’–এর ধারণাটি হলো– আয় যেমনই হোক না কেন স্কুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সব পরিবারকে সমান সুযোগ দেওয়া।
ট্রাম্প বলেন, ‘শিক্ষার দায়িত্ব অঙ্গরাজ্যের হাতে ফিরিয়ে আনব এবং লিন্ডা সেই প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবেন।’
গত আগস্টে ট্রানজিশন টিমের কো–চেয়ার হিসেবে ম্যাকমোহনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত জুলাই নাগাদ তিনি ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের জন্য ৮ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ ডলার অনুদান দিয়েছেন।
লিন্ডা ম্যাকমোহন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে তাঁর মন্ত্রিপরিষদে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন।
২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের বোর্ড চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করেছেন লিন্ডা ম্যাকমোহন। আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের অধীনে পরিচালিত সেন্টার ফর দ্য আমেরিকান ওয়ার্কারের চেয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
কানেকটিকাটের সাবেক সিনেট প্রার্থী ম্যাকমোহন ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের চেয়ার ও প্রধান নির্বাহী হিসেবেও নিযুক্ত আছেন।
গত অক্টোবরে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নতুন মামলায় ম্যাকমোহনের নাম ছিল। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি এবং কোম্পানির অন্য নেতারা রেসলিংয়ের রিংসাইড ঘোষক মেলভিন ফিলিপস জুনিয়রের হাতে অল্পবয়সী ছেলেদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেননি। অভিযোগে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে ম্যাকমোহনরা এই নিপীড়নের বিষয়ে জানার পরও তা থামাতে ব্যর্থ হন।
ইউএসএ টুডে স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকমোহনের এক আইনজীবী বলেছেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো মিথ্যা। তিনি একে ‘অযৌক্তিক, মানহানিকর এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন।