২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিরোধী স্লোগানের সঙ্গেও একমত বাইডেন!

জো বাইডেন ও জিল বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বাইডেনবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন এক ব্যক্তি। বড়দিন উপলক্ষে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে শিশুদের জন্য আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানে ওই ব্যক্তি বাইডেনকে বলেন, ‘লেটস গো ব্র্যান্ডন’। হঠাৎ বিদ্রূপ বুঝতে না পেরে বাইডেন বলে ওঠেন তিনি এ কথার সঙ্গে একমত। খবর বিবিসির।

গতকাল সাউথ কোর্ট অডিটরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন জায়গার শিশুদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হচ্ছিলেন জো বাইডেন ও জিল বাইডেন দম্পতি। সান্তা ক্লজ কোথায় অবস্থান করছেন, তা জানার পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন ইচ্ছার কথা শুনছিলেন তাঁরা। একপর্যায়ে অরেগন অঙ্গরাজ্য থেকে জ্যারেড নামের এক ব্যক্তি ফোন দেন। পাশে ছিল তাঁর চার শিশুসন্তান। ১১ বছর বয়সী গ্রিফিন, ৪ বছর বয়সী পাইপার, ৩ বছর বয়সী হান্টার ও ২ বছর বয়সী পেনেলোপি।

জ্যারেডকে উদ্দেশ্যে করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমার মনে হয় আপনি তাদের বাবা।’ জবাবে হ্যাঁ বলেন জ্যারেড। বাইডেন আবার তাঁকে বলেন, ‘ঠিক আছে, বাবা, আপনি বড়দিনে কী চান?’ জবাবে জ্যারেড হাসতে হাসতে বলেন, ‘হয়তো নিরিবিলি একটি রাত।’

বাইডেন বলেন, ‘বাবা, আপনি জানেন আমাদের কাছেও হান্টার আছে। আমাদের ছেলের নাম হান্টার এবং নাতির নামও হান্টার। জ্যারেড বলেন, ‘হান্টার নামে আপনার যে নাতি আছে, তা জানতাম না। শুনে ভালো লাগল।’

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তখন গ্রিফিনের বয়স কত, তা জিজ্ঞেস করেন। জবাবে গ্রিফিন জানায়, তার বয়স ১১ এবং সে বড়দিনের উপহার হিসেবে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি পিয়ানো চায়। হান্টার ও পাইপারও খেলনা চায়।

জো বাইডেন হাসিমুখে শিশুদের মনে করিয়ে দেন তারা যেন রাত ৯টার মধ্যে বিছানায় ঘুমাতে যায়। নয়তো সান্তা ক্লজ তাদের সঙ্গে দেখা না–ও করতে পারেন।
জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন জ্যারেডের পরিবারকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।

জ্যারেড তখন বলেন, ‘আপনাদেরও বড়দিন উৎসব দারুণ কাটুক। বড়দিনের শুভেচ্ছা এবং লেটস গো ব্র্যান্ডন।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন বিদ্রূপ বুঝতে না পেরে বলে ওঠেন, ‘লেটস গো ব্র্যান্ডন। আমি সহমত।’

এরপর কিছুক্ষণের জন্য সবাই নীরব হয়ে যান। তারপর বাইডেন আবার শুরু করেন, ‘আচ্ছা ভালো কথা, আপনি অরেগনে আছেন? আপনার বাড়ি কোথায়?’ আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না দেখে বাইডেন বলেন, তাঁর সঙ্গে মনে হয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

লেটস গো ব্র্যান্ডন স্লোগানটি কীভাবে এল, তা জানতে ফিরতে হবে গত মাসে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যে সেদিন গাড়ির প্রতিযোগিতা চলছিল। ওই প্রতিযোগিতাটি সম্প্রচার করছিল সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি। একপর্যায়ে সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির প্রতিবেদক ওই প্রতিযোগিতার বিজয়ী চালক ব্র্যান্ডন ব্রাউনের সাক্ষাৎকার নেন। তা সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিল। তখনই হঠাৎ তাঁদের পেছনে থাকা ভিড়ের মধ্য থেকে একদল লোক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিয়ে অশোভন স্লোগান দিতে থাকেন। সরাসরি সম্প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে পেছন থেকে ভেসে আসা শব্দগুলো স্পষ্টই শোনা যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতেই হোক কিংবা ভুল করেই হোক, প্রতিবেদক ব্র্যান্ডনকে বলেন, ওই লোকগুলো তাঁকে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। তাঁরা বলছে, লেটস গো ব্র্যান্ডন।

এ ঘটনার পর মজার ছলে ব্যবহার করা হয় লেটস গো ব্র্যান্ডন। শুধু তাই নয়, বাইডেনবিরোধী স্লোগানেও পরিণত হয় এটি।