ব্রাজিলে পরীক্ষায় চীনা টিকা ৫০ শতাংশ কার্যকর
ব্রাজিলে চালানো চীনের করোনাভ্যাক টিকার পরীক্ষায় প্রায় ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রাজিলে চালানো ট্রায়ালে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের সান্নিধ্যে আসা সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাভ্যাক টিকা দেওয়া হয়।
ব্রাজিলে করোনাভ্যাক টিকার এই ট্রায়ালে ১২ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন।
গবেষকদের ভাষ্য, পরীক্ষায় টিকাটি ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে অবশ্য ব্রাজিলে করোনাভ্যাক টিকার কার্যকারিতা বেশি বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, টিকাটির কার্যকারিতার মাত্রা আগের দাবির চেয়ে অনেক কম। করোনাভ্যাক টিকার কার্যকারিতার এই ফলকে হতাশাজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনাভ্যাক টিকার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা যায়নি। তা ছাড়া অ্যালার্জিজনিত তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
চীনা টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক ‘করোনাভ্যাক’ টিকা তৈরি করেছে। ব্রাজিলে করোনাভ্যাক টিকা উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ভুটানটান ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের ভাষ্য, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর।
টিকার কার্যকারিতার ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ব্রাজিলে চালানো পরীক্ষায় করোনাভ্যাকের টিকা সেই ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রাই অর্জন করল।
করোনাভাইরাসের একাধিক টিকা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। কার্যকারিতার ক্ষেত্রে এই টিকাগুলোর চেয়ে করোনাভ্যাকের টিকা অনেকটা পিছিয়ে আছে।
মডার্নার ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকর। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, করোনাভ্যাকের টিকার অনুমোদন চেয়ে গত শুক্রবার ব্রাজিলের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন উপস্থাপন করেছে ভুটানটান ইনস্টিটিউট।
দেশটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েও আবেদন জমা পড়েছে।