২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দ্বিতীয়বার লকডাউন পাগলামি, বললেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো
ছবি : রয়টার্স

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো করোনা মহামারির শুরু থেকেই লকডাউনের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। মহামারি ঠেকাতে ঘরবন্দী করে রাখার (স্টে অ্যাট হোম) পদক্ষেপের দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছেন তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে অনেক দেশ নতুন করে লকডাউন দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার লকডাউনের পদক্ষেপকে ‘পাগলামি’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। অনেক সরকার ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী বলে পরিচিত বোলসোনারো।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, করোনা ভাইরাসে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভুগছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৬ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণের দিক দিয়ে আমেরিকা ও ভারতের পরই ব্রাজিলের অবস্থান। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৭০।

বিশ্লেষকেরা বলেন, করোনা মোকাবিলায় বোলসোনারোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অদ্ভুত মিল রয়েছে। দুজনই পপুলার ভোটে জিতে এসেছেন। উভয়েই বড় ব্যবসায়ীদের প্রিয়পাত্র। উভয়েই লকডাউনের বিপক্ষে। জার্মানি, ভিয়েতনাম, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, কিউবা, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অধিকাংশ রাষ্ট্র করোনার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াইয়ে লিপ্ত। কিন্তু বোলসোনারো ও ট্রাম্প নিজেদের পথে হেঁটেছেন। দুই নেতাই অবশ্য করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শীতের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপে জেঁকে বসেছে করোনাভাইরাস। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় চলতি বছরের মার্চ মাসের মতো আতঙ্কজনক পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুধবার রাতে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বুধবার রাতে এক ঘোষণায় শুক্রবার থেকে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে পুরোপুরি লকডাউনের পদক্ষেপ জানিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ কারফিউ বা লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের শীতপ্রধান দেশগুলোয় করোনার প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, ইউরোপে করোনার এই ক্রমবৃদ্ধি বিভিন্ন দেশের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করবে।