ভেনেজুয়েলায় নির্বাচনে বিরোধী নেতা সুস্পষ্টভাবে মাদুরোকে হারিয়েছেন: মার্কিন কূটনীতিক
ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়ার কাছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ব্রায়ান নিকোলস।
ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই) এখনো ভোটের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি। এ অবস্থায় বিরোধীদের প্রকাশ করা ভোটের হিসাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলস ওই মন্তব্য করেন।
ভোটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করেই গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে সিএনই। বিরোধীরা ভোটের বিস্তারিত এ তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। একই আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারও।
গতকাল লাতিন আমেরিকার আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) বৈঠকে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রায়ান নিকোলস কেন সিএনই ভোটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, সেই প্রশ্নও তোলেন।
নিকোলস আরও বলেন, ‘জবাব পরিষ্কার। হয় তারা জানে, সত্যিকারের ফল প্রকাশ করলে তাতে প্রমাণ হয়ে যাবে, এডমান্ডো গঞ্জালেজ নিশ্চিত জয় পেয়েছেন। তাই তারা ফলাফল শেয়ার করতে চায় না। নতুবা, তারা জানে, সত্যিকার ফলাফল এডমান্ডোর জয় নিশ্চিত করবে এবং তাদের (সিএনই) অসত্য অনুমানের সমর্থনে মাদুরোর সিএনইর মিথ্যা ফলাফল তৈরি করতে সময় লাগছে।’
ভেনেজুয়েলার বিরোধীপক্ষ ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফল–সংক্রান্ত হাজার হাজার নথি (অ্যাক্টাস নামে পরিচিত) প্রকাশ করেছে। সেগুলোর স্বীকৃতি দিয়ে নিকোলস বলেন, ‘এগুলোই ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের সত্যিকারের ভোট।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তারিত ফলাফলের এ সারণি স্পষ্টভাবে একটি অকাট্য ফলকে সামনে এনেছে। গঞ্জালেজ ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর মাদুরো পেয়েছেন ৩০ শতাংশ ভোট।’
নিকোলস মনে করেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে যে ব্যবধান আছে, তা পূরণ করার মতো যথেষ্ট ভোট গণনার আর বাকি নেই। তিনি বলেন, ‘অ্যাক্টাসের ওপর ভিত্তি করে যে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে গঞ্জালেজ উরুতিয়া লাখ লাখ ভোটে নিকোলা মাদুরোকে পরাজিত করেছেন।’
২০১৩ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬১ বছর বয়সী সমাজতন্ত্রী মাদুরো। এ সময় দেশটির জিডিপি ৮০ শতাংশ কমেছে। এতে ৩ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভেনেজুয়েলার ৭০ লাখের বেশি নাগরিককে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে হয়েছে। তাঁদের অনেকে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।