বলিভিয়ার বরখাস্ত সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ছয় মাসের আটকাদেশ
অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বলিভিয়ার বরখাস্ত সেনাপ্রধান হুয়ান হোসে জুনিগাকে ছয় মাসের বিচারপূর্ব আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। এটিকে বলিভিয়ায় ‘নিবর্তনমূলক আটকাদেশ’ বলে গণ্য করা হয়। সরকারকে উৎখাতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়ায় তাঁকে এই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির কৌঁসুলি সিজার সাইলেস গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলেন।
কোনো ব্যক্তি বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে বিচারপতি যদি মনে করেন তাঁর মুক্ত থাকাটা দেশের জন্য ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক হতে পারে, তখন নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেওয়া হয়।
বলিভিয়ার কৌঁসুলি সিজার সাইলেস বলেন, ঘটনার গুরুতর মাত্রা এবং গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ছয় মাসের এই আটকাদেশ দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য দপ্তর এই অনুরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
সাইলেস আরও বলেন, বিচারপতি যে আটকাদেশ দিচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে নজির তৈরি করবে। তা ছাড়া তদন্তকাজ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি একটি ভালো ইঙ্গিত।
গত বুধবার জুনিগাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, তাঁর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের প্রধান চত্বরে জড়ো হতে থাকে। সেখানে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কংগ্রেস ভবনের অবস্থান। একটি সাঁজোয়া যান এসে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ধাতব ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়।
সাইলেস বলেন, জুনিগার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পাশাপাশি সশস্ত্র বিদ্রোহেরও একটি অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, যার শাস্তি ৫ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড।
জুনিগার দাবি, তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের নির্দেশেই এমন কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তবে এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আর্সে। তাঁর দাবি, জুনিগার অভিযানের ব্যাপারে তিনি আগে থেকে কিছুই জানতেন না।