ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটাভুটিতে পিছিয়ে ছিলেন। তবে একই দিনে তাঁর দল দেশটির সিনেট নির্বাচনে বেশ ভালো ফল করেছে। নবনির্বাচিত সিনেট সদস্যদের অনেকেই বলছেন, ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার ভোটে বলসোনারো হেরে গেলেও দেশের কৃষি খাতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং ব্রাজিলের কৃষি খাত বামপন্থী প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে।
ব্রাজিলের শস্য উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় রাজ্য মাতো গ্রোসো। গত রোববার প্রথম দফার ভোটে এখান থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন বলসোনারোর দলের ওয়েলিংটন ফাগুনদেস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত জয় পাবেন বলসোনারো। তবে তাঁর মতে, লুলা বিজয়ী হলেও দেশের কৃষি খাত ও খামারগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে না। তিনি চূড়ান্ত জয় পেলে কৃষক ও খামারিরা তাঁর নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন। তাঁকে বরণ করে নেবেন। কেননা, তাঁরা বেশ বাস্তববাদী।’
ওয়েলিংটন আশা প্রকাশ করেন, ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার ভোটে হেরে গেলে বলসোনারো ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। যদিও বলসোনারো ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি হারলে ব্রাজিলের নির্বাচনী ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে হারবেন। তিনি ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এই পরিস্থিতিতে ওয়েলিংটন আশা করছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে বলসোনারো দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবেন না।
গত রোববার প্রথম দফার ভোটে লুলা ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বলসোনারো ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, জনমত জরিপের ফল ভুল প্রমাণ করে বলসোনারো প্রথম দফায় অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। মূলত রক্ষণশীল মনোভাবের জোয়ার, আদিবাসীদের ভূমির অধিকারবিরোধী অবস্থান বড় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে বলসোনারোর দলের ভোটপ্রাপ্তিই এটি প্রমাণ করে।
বলসোনারো সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী তেরেজা ক্রিস্টিনা দায়াস গত রোববার ভোটে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশটির সিনেটে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদের জোর দাবিদার। এই পদে তাঁর জয়ে সিনেটে বলসোনারোর দলের অবস্থান আরও জোরদার হবে। এই পরিস্থিতিতে লুলা প্রেসিডেন্ট পদে জয় পেলে তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।