ফেঁসে যাচ্ছেন বলসোনারো
কোভিড নীতিমালা নিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। দেশটির সিনেট কমিটির তদন্তে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। গত মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে কমিটি। বলসোনারোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও রয়েছে। খবর এএফপির।
ব্রাজিলের সিনেটের ১১ সদস্যের প্যানেলের ৭ জন বলসোনারোর বিরুদ্ধে ভোট দেন। ব্রাজিলের করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ছয় মাসের তদন্তের পর গত সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হয়। তদন্তে বলসোনারো ছাড়াও আরও ৭৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় বলসোনারোর তিন সন্তানও রয়েছে।
প্রায় ১ হাজার ২০০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের কাছে বলসোনারোর সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস এইডসের সঙ্গে যুক্ত এমন মিথ্যা ছড়ানোর জন্য বলসোনারোর ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কয়েক ডজন উত্তেজনাপূর্ণ শুনানির পর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলসোনারো ব্রাজিলের অধিবাসীদের ইচ্ছাকৃত সংক্রমণ ছড়িয়েছেন। প্রতিবেদনে বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোয় নয়টি অভিযোগ আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, অবাধ্যতা, প্ররোচনার মতো বিষয়।
কমিটির নিজের অভিযোগ আনার ক্ষমতা নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বা নিম্নকক্ষের স্পিকার বা বলসোনারোর মিত্ররা তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের পথে হাঁটবে না।
তবে এই প্রতিবেদন দেশটির আগামী নির্বাচনে বলসোনারোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে সম্পর্কিত।