পেঙ্গুইন গোনাই চাকরি, ডাকঘরে খালি তিনটি পদ
চাকরি চাই? তাহলে হতে হবে উদ্যমী ও আত্মবিশ্বাসী। থাকতে হবে বাড়ি থেকে বহুদূরে কাজ করা মানসিকতা। বিষয়গুলো মিলে গেলেই যোগাযোগ করা যাবে যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থার সঙ্গে। বিশ্বের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে বিচিত্র এক চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে তারা। আর তা হলো পেঙ্গুইন গোনা।
সংস্থাটির নাম অ্যান্টার্কটিক হেরিটেজ ট্রাস্ট। তাদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে অ্যান্টার্কটিকার গাডিয়ার দ্বীপে। দ্বীপের পোর্ট লকরয় ঘাঁটির একটি ডাকঘরে কাজ করতে হবে তাঁদের। সেটি পরিচিত ‘পেঙ্গুইন ডাকঘর’ নামে। অ্যান্টার্কটিকার এ অঞ্চল যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পেঙ্গুইন ডাকঘরে নিয়োগ পাবেন তিনজন। তবে তাঁদের পদগুলো স্থায়ী নয়। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালে মার্চ পর্যন্ত চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করবেন তাঁরা। কাজের মধ্যে রয়েছে—ডাকঘরের চিঠিপত্রগুলো বিলি করা, স্ট্যাম্প বিক্রি, উপহার সরঞ্জামের ছোট একটি দোকান চালানো ও পেঙ্গুইন গুনে রাখা। পোর্ট লকরয় অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার পেঙ্গুইন রয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে হলেও ডাকঘরটি কিন্তু বেশ ব্যস্ত। বছরে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার চিঠি বিলি করা হয় সেখান থেকে। এর বেশির ভাগই পাঠান বিভিন্ন প্রমোদতরির যাত্রীরা। দক্ষিণ গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল চলে, তখন সেখানে বিভিন্ন প্রমোদতরির আনাগোনা দেখা যায়।
পেঙ্গুইন ডাকঘরে মোট তিন পদে চাকরি দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঘাঁটির প্রধান, সহকারী কর্মকর্তা ও উপহারের দোকানের ব্যবস্থাপক। চাকরি পেতে হলে রয়েছে কিছু শর্তও। যেমন আগ্রহী প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়া বসবাসের মানসিকতা থাকতে হবে। এ ছাড়া সেখানে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। এ পরিস্থিতির সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে।
যুক্তরাজ্যের অ্যান্টার্কটিক হেরিটেজ ট্রাস্টের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে। যেমন একজন লিখেছেন, ‘সেখানে যাওয়ার জন্য আমার মন টানছে। তবে আবেদন করতে পারব না। কারণ, আমি যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা নই।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘অ্যান্টার্কটিকা যাওয়ার এটাই সুযোগ।’