শাহবাজকে মোদি-এরদোয়ানের অভিনন্দন, কথা বললেন কাশ্মীর নিয়ে
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি। খবর জিয়ো নিউজের।
জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। এরপর বিরোধী জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে তাঁর ১৭২ ভোটের প্রয়োজন ছিল।
পিটিআই দলটির নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি। জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি বর্জন করেন পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা। পার্লামেন্ট থেকে গণপদত্যাগেরও ঘোষণা দেন তাঁরা। এতে শাহবাজ কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
টুইটারে শাহবাজকে এক অভিনন্দন বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন। ভারত সন্ত্রাসমুক্ত এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে, যাতে আমরা আমাদের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের ওপর নজর দিতে পারি এবং আমাদের জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারি।’
এদিকে জাতীয় পরিষদে শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে ফোন দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে এরদোয়ান বলেছেন, শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তিনি ‘খুবই খুশি’।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনার (শাহবাজ) নেতৃত্বে পাকিস্তান-তুরস্ক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ জবাবে শাহবাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় দুই দেশের আরও ঘনিষ্ঠতা প্রত্যাশা করেন তিনি। অভিনন্দন জানিয়ে ফোন দেওয়ায় এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শাহবাজ
অন্যদিকে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দেওয়া ভাষণে শাহবাজ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যদিও তাঁরা ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চান, তাঁরা জানেন, কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে না।
দুই দেশের জনগণের বিষয়গুলো অনুধাবন করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও চিকিৎসাসেবার মতো বিষয়গুলো যেখানে রয়েছে, সেখানে কেন আমরা নিজেদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষতি করছি?’
শাহবাজ বলেন, কাশ্মীরিদের চাওয়া অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে নরেন্দ্র মোদির এগিয়ে আসা উচিত। কাশ্মীরের জনগণের জন্য তাঁর সরকার সোচ্চার থাকবে বলেও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।