শান্তির বার্তা দিয়ে মোদিকে শাহবাজের চিঠি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ছবি রয়টার্স

শান্তির বার্তা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল রোববার লেখা ওই চিঠিতে ভারত ও পাকিস্তানের ‘পারস্পরিক শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে’ জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের দৈনিক ডন এ খবর জানিয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ওই দিনই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন মোদি। টুইট করে মোদি বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় ভারত। মোদিকে লেখা চিঠিতে শাহবাজও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক’ চায় পাকিস্তান, কাশ্মীর বিরোধ সমাধানের জন্য যা অপরিহার্য।

আরও পড়ুন

মোদিকে লেখা শাহবাজের ওই চিঠিটি উদ্ধৃত করে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁর জন্য শুভকামনা জানানোয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মোদিকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে পাকিস্তান বরাবর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানের ত্যাগ ও অবদানের কথা সবাই জানে এবং এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আমাদের জনগণ এবং এ অঞ্চলের অগ্রগতি ও আর্থসামাজিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।’

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের মতো মূল ইস্যুসহ অন্যান্য বিরোধ অর্থপূর্ণ আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে অর্জন করা যেতে পারে।’

সম্মিলিতভাবে শান্তি রক্ষা এবং দুই দেশের জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

এর আগে শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন। ভারত সন্ত্রাসমুক্ত এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে, যাতে আমরা আমাদের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের ওপর নজর দিতে পারি এবং আমাদের জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারি।’