ইমরান খানকে গুলি করার যে কারণ বললেন হামলাকারী
ইমরান খান লোকজনকে বিভ্রান্ত করছিলেন বলে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, এমনটাই দাবি করেছেন এ ঘটনায় হামলাকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি। পরে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেই ভিডিও জিওটিভি অনলাইন পোস্ট করেছে। এ ছাড়া ডনও এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চের বহরের মধ্যে ঢুকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় ইমরানের পায়ে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে।
ভিডিওতে একজন তাঁর কাছে জানতে চান, কেন ইমরান খানকে গুলি করেছেন? এর জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ইমরান খান লোকজনকে বিভ্রান্ত করছিলেন। এটা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি ওনাকে মারার চেষ্টা করেছি। মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। শুধু ইমরানকে, আর কাউকে না।’
এটা তুমি কি বুঝে করলে, সেই প্রশ্নের জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘একদিকে আজান হচ্ছিল আর এখানে ঢাক নিয়ে হল্লা হচ্ছিল। সকাল থেকে এই হামলা নিয়ে আমি পরিকল্পনা করছিলাম। যেদিন থেকে লাহোরে এটা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে এটা করার কথা ভেবে আসছি। আমি ওকে ছাড়ব না।’
তাঁর সঙ্গে আর কে কে ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর কেউ না। বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে একাই এসেছেন। পরে মোটরসাইকেলটি মামার দোকানে রেখে আসেন।
পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ করছিলেন ইমরান খান। লংমার্চে কনটেইনার ব্যবহার করে বিশেষ গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়িতে যাত্রা করছিলেন ইমরান।
ইমরান খানকে চিকিৎসার জন্য লাহোর শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করার পর চিকিৎসকেরা বিস্তারিত জানাবেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এ হামলাকে জঘন্য আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ইমরান খানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কড়া ভাষায় এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছেন। আহত সবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ হামলার নিন্দা জানিয়ে ইমরানসহ আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে টুইট করেন।