সরকার গঠন নিয়ে নওয়াজের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানাল এমকিউএম-পি
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) এর মধ্যে গতকাল রোববার গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক হয়েছে।
পিএমএল-এনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী সরকার গঠনে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দুই দলই প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। যদিও বৈঠক শেষ হওয়ার পরই এমকিউএম-পি দলের আহ্বায়ক খালিদ মকবুল সিদ্দিকি বলেছেন, বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বৈঠকে নওয়াজ শরিফ পিএমএল-এনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এমকিউএম-পির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ মকবুল সিদ্দিকি।
গণমাধ্যমকর্মীদের এমকিউএম-পির আহ্বায়ক খালিদ মকবুল বলেন, নির্বাচনের পর চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেশকে বের করে আনতে সব দলকে অবশ্যই নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
খালিদ মকবুল আরও বলেন, পরবর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। এমকিউএম-পি ভবিষ্যৎ সরকারের অংশ হবে কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পিএমএল-এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজও বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এমকিউএম-পির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরি, ফারুক সাত্তার ও মুস্তফা কামাল।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনের মধ্যে (একটিতে নির্বাচন স্থগিত) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। এরপর ৭৫ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ ইতিমধ্যে জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ইশাকদারকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা যেন জোট সরকার গঠনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও অন্য ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন। মূলত পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয়ে গঠিত পিডিএম জোটের আগের ১৬ মাসের মেয়াদে যে দলগুলো জোটের অন্তর্ভুক্ত ছিল, সে দলগুলোকেই কাছে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।