নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সমঝোতা হয়েছে: ইমরান খান
পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের মাঠ তাঁর দলের জন্য উপযোগী নয়। তাঁর অভিযোগ, সামরিক বাহিনী সেটা করতে দিতে চায় না। নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সমঝোতা হয়েছে। তারা নওয়াজের পক্ষে কাজ করবে।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে লেখা এক নিবন্ধে ইমরান এমন অভিযোগ তুলেছেন। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন ইমরান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তাঁর তিন বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। কারাগারে থেকেই ওই নিবন্ধ লিখেছে ইমরান।
ইমরান লিখেছেন, ‘২০২২ সালের এপ্রিলে প্রহসনমূলক অনাস্থা ভোট হওয়ার পর থেকে যে কায়দায় আমি এবং আমার দলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার; সামরিক বাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা এবং বেসামরিক আমলা—কেউই পিটিআইয়ের জন্য নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় না; সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা তো পরের কথা।’ তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) প্রধান নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সমঝোতা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তাঁকে (নওয়াজ) নির্দোষ প্রমাণ করা হবে এবং আসন্ন নির্বাচনে নওয়াজের পক্ষেই কাজ করবে তারা।
পিটিআই নেতা অভিযোগ করেন, পিটিআই কর্মীদের অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা হবে ‘প্রহসন’।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাঁর সরকারকে উৎখাত করে। স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানোর কারণে এবং মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ঘাঁটি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তাঁর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ হয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইমরান বলেন, এ নির্বাচনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ সন্দিহান। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘সাংবিধানিকভাবে অবৈধ’।
নিবন্ধের শেষে ইকোনমিস্ট লিখেছে, পাকিস্তান সরকার এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ইমরান খানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।