ব্যয় কমাতে দেড় লাখ সরকারি চাকরি বিলুপ্ত করছে পাকিস্তান
প্রশাসনিক ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার দেড় লাখ শূন্য পদ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে একটি মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত ও দুটি মন্ত্রণালয়কে একত্রীকরণ করছে। পাকিস্তানের অর্থ ও রাজস্বমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব এ কথা বলেছেন।
আজ রোববার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আওরঙ্গজেব বলেন, পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর অধিকার কমিটি ৬০ শতাংশ শূন্য পদ বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় কমবে। এ ছাড়া তিনি বলেন, ক্যাপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন (সিএডিডি) মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনেকেই চাকরি হারাতে পারেন।
অধিকার কমিটি এখন পর্যন্ত প্রথম ধাপে ছয় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কার্যক্রম খতিয়ে দেখেছে। এর মধ্যে একটি মন্ত্রণালয় বিলুপ্তির বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুটি মন্ত্রণালয়কে একত্রীকরণ করা হবে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশে দেড় লাখ শূন্য পদ বিলুপ্তির প্রস্তাব দেয়। এ ছাড়া আকস্মিক নিয়োগ বন্ধ, পরিচ্ছন্নতা, দারোয়ানের কাজের মতো পদগুলোকে আউটসোর্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে সরকারের ১ থেকে ১৬ গ্রেডের অনেক পদ বাদ যাবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে সরকারি খাতের আকার এবং ব্যয় কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি ফেডারেল সরকার বিভিন্ন বিভাগের কাজ খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সুপারিশ প্রস্তাব করে।
বৈঠকে কাশ্মীরবিষয়ক ও গিলগিট-বালতিস্তান; রাজ্য ও সীমান্ত অঞ্চল; তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ; শিল্প ও উৎপাদন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা—এই পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
আজ গণমাধ্যমে অর্থ ও রাজস্বমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বেলআউট প্যাকেজ সুরক্ষাসহ সরকারের পদক্ষেপগুলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে।
করের আওতা বাড়ানো নিয়ে আওরঙ্গজেব বলেন, সরকারের কাছে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, যা কাজে লাগানো হবে। এ মুহূর্তে মাত্র ১৪ শতাংশ খুচরা বিক্রেতা বিক্রয় কর দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত। নিবন্ধনহীন ব্যবসায়ীর সরকারি সুযোগ–সুবিধা বন্ধ করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে করছাড় বাতিল করা হয়েছে।