ইমরান খানের দল পিটিআইকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। আজ সোমবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার মামলা করবে। এরপর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
তারার বলেন, ‘আমরা পিটিআইকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, সংবিধানের ১৭ নম্বর আর্টিকেলে সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে যাবে।’
একাধিক অভিযোগ এনে ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিদেশ থেকে পিটিআইয়ের তহবিল সংগ্রহ, যেগুলোর উৎস পাকিস্তানে নিষিদ্ধ; গত বছর ইমরানের দলের নেতা ও সমর্থকদের দাঙ্গা ও সামরিক স্থাপনায় হামলা, যা ৯ মে দাঙ্গা নামে পরিচিত; গোপন তারবার্তা (রাষ্ট্রীয় গোপন নথি প্রকাশ) ইস্যু অন্যতম বলে জানান তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে পিটিআইকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগতভাবে না নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়ে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা ব্যাপক সফলতা পান। কিন্তু নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক নিষিদ্ধ করা হয়। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে পিটিআই। নির্বাচনের পর পিটিআইকে সংরক্ষিত আসনও দেওয়া হয়নি। তবে গত শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলেন, পিটিআই দল হিসেবে যোগ্য। তারা ২০টির বেশি সংরক্ষিত আসন পাবে।
এমনটি হলে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সাধারণ পরিষদে একক দল হিসেবে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। এতে দেশটির বর্তমান দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তাই পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে সংরক্ষিত আসনের বিষয়েও সরকার আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
সংরক্ষিত আসন মঞ্জুর করার আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর পরিকল্পিত নিষেধাজ্ঞা কী প্রভাব ফেলবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
গত আগস্ট থেকে জেলে থাকা ইমরান খানকে গত শনিবার ইদ্দত মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নতুন আটকাদেশ জারি করায় তিনি মুক্তি পাননি।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান ২০২২ সালে এক অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।