ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা, বাড়ি ঘিরে পুলিশ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। বিচারক ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। তাঁর বাড়ি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
ইসলামাবাদে এক সমাবেশ থেকে হুমকি দেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট আলি জাভেদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর মারাগালা থানায় গতকাল রোববার রাত ১০টায় এই এজাহার (এফআইআর) করা হয়।
এতে বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ওই সমাবেশ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি–ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এই ভয়ভীতি প্রদর্শনের মূল উদ্দেশ্য পুলিশ কর্মকর্তা ও বিচার বিভাগকে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনে বাধা দেওয়া।
এজাহারে আরও বলা হয়, ইমরান খানের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ও ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া।
এদিকে, মামলার পর ইমরান খানের বানিগালা বাসভবনের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অননুমোদিত লোকজনের জন্য তাঁর বাসায় যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ লোকজন এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
পিটিআই নেতা-কর্মীরাও ইমরান খানের বাসভবন চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে পিটিআই নেতা মুরাদ সাঈদ টুইটারে দলের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারে আদেশ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কী বলেছিলেন ইমরান খান
শনিবার রাজধানীর এফ-৯ পার্কে এক সমাবেশ বক্তৃতা দেন ইমরান খান। পিটিআই নেতা শাহবাজ গিলকে নির্যাতন করায় ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং নারী বিচারককে ‘ছাড় না দেওয়ার’ হুমকি দেন দলটির চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করারও ঘোষণা দেন।
সমাবেশে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইজি ও ডিআইজিকে ছাড়ব না।’ শাহবাজ গিলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরী। তাঁকেও হুমকি দিয়ে ইমরান খান বলেন, তাঁরও (জেবা চৌধুরী) প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।