ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের হয়ে কাজ করায় ইরানে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করায় ইরানে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। একই অভিযোগে আরও তিনজনকে পাঁচ থেকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর আল-জাজিরার
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল রোববার দিনের শুরুতে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন হোসেইন ওরদোখানজাদেহ, শাহিন ইমানি মাহমোদাবাদ, মিলাদ আশরাফি আতবাতান ও মানোচেহর শাহবান্দি বোজান্দি।
বিচার বিভাগ দণ্ডিতদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে মন্তব্য করেছে। বলেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের পরিচালনায় তাঁরা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, চুরি, অপহরণ ও ভুয়া স্বীকারোক্তি নিয়েছিলেন। তাঁরা সুইডেনভিত্তিক মোসাদ (ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা) সদস্যদের নির্দেশনা পেয়েছিলেন।
বিচার বিভাগ বলেছে, দণ্ডিত ব্যক্তিদের সবার অতীতে অপরাধ সংঘটনের ইতিহাস রয়েছে। মোসাদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ থাকা ওরদোখানজাদেহ তুরস্ক থেকে গ্রিসে মানব পাচারের চেষ্টা করায় ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গ্রিসে কারাভোগ করেছিলেন।
দণ্ডিতদের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ পরিশোধ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র কেনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁরা তথ্য-প্রমাণ ধ্বংস, নিরাপত্তা ক্যামেরা এড়িয়ে চলা ও গাড়ি বদলের মতো প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যা মোসাদের ভূমিকাকে সামনে এনেছে বলে ইরানি বিচার বিভাগ বলছে।
মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার পর গতকাল তা কার্যকর করা হয়। এর আগে গত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেছিল বিচার বিভাগ।
চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ছাড়াও আরও তিনজনকে পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই তিনজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটন, অপহরণে সহযোগিতা এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইরান ও ইসরায়েল চিরবৈরী আঞ্চলিক শক্তি। যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রসহ বিদেশিদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইরান মাঝেমধ্যেই লোকজনকে আটকের কথা ঘোষণা দিয়ে থাকে।