ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলা
দক্ষিণ লেবাননজুড়ে গতকাল সোমবার রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতে তারা হিজবুল্লাহর বেশ কিছু অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। অন্যদিকে লেবানন থেকে গত রাতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও ইসরায়েলকে নিশানা করে পাল্টা হামলা চালিয়েছেন।
অনলাইনে এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, গত রাতে লেবানন থেকে আফুলা এলাকা ও উত্তর ইসরায়েলের উপত্যকাগুলো নিশানা করে ২০০ টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। রাতভর এসব অঞ্চলে হামলার সতর্কতার ‘সাইরেন’ বেজেছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দুই ইসরায়েলি।
২০০৬ সালে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পর গতকাল সোমবার সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন দেখেছে লেবানন। এদিন সকাল থেকেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বের কয়েকটি এলাকায় তীব্র বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। রাজধানী বৈরুতের একটি অংশেও হামলা হয়েছে। হামলায় অন্তত ৪৯২ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৫টি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর প্রায় ১ হাজার ৬০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নানা অবকাঠামো, ঘাঁটি ও অস্ত্র রয়েছে।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের যেসব ভবনে হামলা চালিয়েছে, সেগুলোতে অস্ত্রের গুদাম ছিল বলে ধারণা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর। যুক্তি হিসেবে তারা বলছে, হামলার পর দ্বিতীয় পর্যায়ের বিস্ফোরণ লক্ষ করা গেছে।
পাল্টা হামলার আশঙ্কায় আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় টাইমস অব ইসরায়েল। লেবাননেও সব স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ সংস্থা বৈরুতে উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।