গাজার আল–শিফা হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে ছয়টি ট্যাংকসহ শতাধিক সেনা ঢুকে পড়েছেন। তাঁদের কারও কারও মুখে মুখোশ দেখা গেছে। খাদের জানুন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে ফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চালানোর খবর জানিয়ে খাদের বলেন, সেনারা একটি স্মোক বোমা (ধোঁয়া বোমা) ছুড়েছে। এতে লোকজনের দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা।
খাদের আরও বলেন, ‘আমি সেনাদের একটি বিশেষায়িত শল্যচিকিৎসা বিভাগে ঢুকতে দেখেছি।’
বিবিসির প্রতিনিধিকে ফোনে এসব কথা বলার পর খাদেরের সঙ্গে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছু সময় পর খাদেরের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ হয় বিবিসির। তিনি তখন বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতর আমি ছয়টি ট্যাংক ও শতাধিক কমান্ডো সেনাকে ঢুকতে দেখেছি। তাঁরা প্রধান জরুরি বিভাগে ঢুকেছেন। কিছু সেনার মুখে মুখোশ দেখা গেছে। তাঁদের কেউ কেউ আরবিতে বলছিলেন, “কেউ নড়বেন না, জায়গা থেকে সরবেন না”।’
খাদের জানুন আল–শিফা হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করছেন। তবে তাঁর দেওয়া এসব তথ্যের সত্যতা বিবিসি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকবারই আল–শিফা হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। এবারই প্রথম তারা সরাসরি হাসপাতালটির ভেতরে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার পরপর হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, হামাসকে লক্ষ্য করে সংক্ষিপ্ত অভিযান চালাচ্ছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বরাবরই দাবি করে আসছে, হাসপাতালটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।