নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যথেষ্ট নয়, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: খামেনি

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুফাইল ছবি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি যথেষ্ট নয়, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত ছিল।

আজ সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে আয়োজিত এক বৈঠকে এ কথা বলেন খামেনি। গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর তিন দিন পর এই প্রথম এ প্রসঙ্গে কথা বলেন খামেনি।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের বিরোধ। দেশটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসছে। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর পর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

আইসিসির বিচারকেরা বলেছেন, নেতানিয়াহু ও তাঁর সরকারের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত যে ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ করেছেন, তা বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসংগত কারণ’ আছে। কারণ, তাঁরা গাজা উপত্যকায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাসহ ইচ্ছাকৃত সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

আধা সামরিক বাহিনী ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের শাখা বাসিজের একটি অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, আইসিসি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে তা যথেষ্ট নয়।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানালেও মূলত আইসিসির সেই আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তারপরও খামেনি বলেন, ‘এ ধরনের (নেতানিয়াহু) অপরাধী নেতাকে মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া উচিত।’

আইন অনুযায়ী আইসিসি কোনো অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিতে পারেন না। কাউকে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারেন এই আদালত। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

আরও পড়ুন

বিচারের আগে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় নেতানিয়াহুর চলাফেরা কার্যত সীমিত হয়ে পড়েছে। কারণ, আইসিসির ১২৪টি সদস্যরাষ্ট্রের যেকোনো একটি তাদের ভূখণ্ডে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান সদস্যদেশগুলোকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান, ইসরায়েলসহ যেসব দেশ আইসিসির সদস্য নয়, তাদের ‘আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে’ একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন