গাজায় বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় জাতিসংঘের ছয় কর্মী নিহত: গুতেরেস

ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের ছয় কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে এ কথা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

নিহত ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) কাজ করতেন বলে জানান গুতেরেস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন আমাদের ইউএনআরডব্লিউএর সহকর্মী।’

এটিকে একক কোনো হামলায় সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মীর মৃত্যু বলে দাবি করেছে ইউএনআরডব্লিউএ।

সংস্থাটি এক্সে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে বলেছে, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার ওই বিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে। সেখানে অন্তত ১২ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের বসবাস, যাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

গতকাল দিনের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, নুসেইরাত অঞ্চলে আর-জাউনি স্কুলে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল এএফপিকে বলেন, ওই ইসরায়েলি হামলায় মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই স্কুলের মাঠে হামাসের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন হামাস যোদ্ধারা। সুনির্দিষ্টভাবে তাঁদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে বিমানবাহিনী। তবে হামলার ফলাফল কিংবা যাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন:

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কী ক্ষতি হলো, পুনর্নির্মাণে কত অর্থ লাগবে

গাজায় এখন গুলি-বোমার চেয়ে ইসরায়েলের চাপানো ‘ক্ষুধায়’ বেশি মরছে মানুষ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামিক দেশগুলোকে একজোট হতে বললেন এরদোয়ান

///////////////////////////////////////////////////