গাজায় আরও এক স্কুলে বোমা হামলা, নিহত ৫০

২ নভেম্বরও আল–ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়েছিল। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় আরও একটি স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জাতিসংঘের পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

গতকাল শুক্রবারের গাজা নগরীর দক্ষিণাঞ্চলীয় জেইতুন এলাকার আল ফালাহ বিদ্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ‘প্যালেস্টাইন টিভি’-এর খবরে বলা হয়েছে, এ হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০০ জন।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা আল-ফাখুরা স্কুলে এ হামলা চালানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের মেঝেতে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

গাজায় জাবালিয়া সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। গত ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের কারণে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এখন এই শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন।

নভেম্বরের শুরুর দিকে হামাস সরকার জানিয়েছিল, জাবালিয়া শিবিরে টানা তিন দিনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।  

হামাস সরকার দাবি করে, ইসরায়েলি সেনাদের অনবরত বিমান ও স্থল হামলায় গাজায় ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার জনই শিশু।

আরও পড়ুন

‘এ দৃশ্য ভয়ংকর’

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আরও একটি স্কুলে হামলায় হতাহত মানুষের ভয়ঙ্কর ছবি এবং ভিডিও চিত্র তারা দেখেছেন। এমন নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

এক্স–এ (আগের নাম টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেছেন,‘এটা তুচ্ছ কোনো হামলা নয়। এমন হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। মানবিক দিক বিবেচনায় যুদ্ধবিরতির জন্য আর কোনোভাবেই সময় দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আদেল খোদ্‌র এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘আল–ফাখোরা ও তাল আল–জাতার স্কুলে হত্যাযজ্ঞের এই দৃশ্য ভয়ংকর। শিশু, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র কখনো হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না।’