হানিয়া হত্যাকাণ্ড: সর্বাত্মক ‘যুদ্ধের কাছাকাছি’ মধ্যপ্রাচ্য
হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ড বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়নবিষয়ক অধ্যাপক নাদের হাশেমি বিবিসিকে এ মন্তব্য করেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আজ বুধবার সকালে ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হানিয়া ও তাঁর একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও হামাসের শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
এ এক বড় ঘটনা। আমি মনে করি, এটি লেবাননের ঘটনাপ্রবাহেও প্রভাব ফেলবে। কেননা, হানিয়া নিহত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় ইসরায়েল। এমন একটি ধারণা ছিল যে, ইরান ও হিজবুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নয়।
পরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকেও হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। বলা হয়, তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অধ্যাপক নাদের হাশেমি বলেন, ‘এ এক বড় ঘটনা। আমি মনে করি, এটি লেবাননের ঘটনাপ্রবাহেও প্রভাব ফেলবে। কেননা, হানিয়া নিহত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় ইসরায়েল। এমন একটি ধারণা ছিল যে ইরান ও হিজবুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নয়।’
২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার হত্যাকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সংঘাতের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে হানিয়া হত্যাকাণ্ড এ ধারণা উল্টে দিল বলে মন্তব্য করেন নাদের হাশেমি। তিনি বলেন, ‘এখন ইরান মধ্যপ্রাচ্যে এ সংঘাত শুরু ও তা বাড়িয়ে তোলার সব সুযোগ পাবে।’
বৈরুতে হামলা চালিয়ে লেবাননের সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করার ইসরায়েলি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানে হামাস নেতা হানিয়া নিহত হওয়ার খবর এল।
২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার হত্যাকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য নতুন করে সংঘাতের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলো বলে মনে করছেন অন্য বিশেষজ্ঞরাও।