ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি আজ জুমার খুতবা দেবেন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আজ শুক্রবার জুমার নামাজে ইমামতি করবেন। তিনি জুমার খুতবাও দেবেন।
ইসরায়েলে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেহরানের পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে খুতবায় আলোকপাত করতে পারেন খামেনি।
প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জুমার খুতবা দিতে যাচ্ছেন খামেনি। ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই খুতবা দেবেন।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চলমান ইসরায়েলি হামলায় ৪১ হাজার ৭৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত ৯৬ হাজার ৭৯৪ জন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে দেশটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খামেনির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তিনি আজ রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করবেন।
এর আগে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লেবাননের হিজবুল্লাহর সদ্যপ্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর জন্য একটি স্মরণ অনুষ্ঠান হবে।
লেবাননের শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতা নাসরুল্লাহ সম্প্রতি বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস বলেছে, গত মাসের শেষ দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ ছাড়াও ইরানি কমান্ডার আব্বাস নিলফোরুশান নিহত হন। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে তেহরানে ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। এসব হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসেবে তারা গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
খামেনি সবশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। বদলা হিসেবে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এ ঘটনার পর খামেনি জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন।
নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় খামেনি ইরানে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। গত বুধবার তিনি বলেন, হিজবুল্লাহপ্রধানের মৃত্যুর ঘটনাটি ‘ছোটখাটো কোনো বিষয়’ নয়।