দামেস্কের কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারের ফটক খুলে দেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে প্রবেশ করেছেন বিদ্রোহীরা। তাঁরা কারাগারের ফটক খুলে দিয়েছেন। আজ রোববার বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে এই দাবি করা হয়।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে সেদনায়ার কারাগারে অত্যাচারের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করছেন। এরই মধ্যে খবর এসেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছেড়েছেন। দামেস্কে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
দামেস্কে প্রবেশের আগে সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানান বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি হোমস শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
একই সঙ্গে আল-জোলানি আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, হোমস শহরকে ‘পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাধীন’ করা হয়েছে। কারাগার থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যোদ্ধারা এখন রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছেন।
দামেস্কের পশ্চিম উপকণ্ঠ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
দামেস্কের একজন বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, তিনি গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। দামেস্কের বারজেহ এলাকায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা ঢুকে পড়েছেন। সেখানে লড়াই চলছে। দামেস্কে এখন বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ইন্টারনেটের গতি খুবই শ্লথ। লোকজন ঘরের বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না।
দামেস্কের দুজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাঁরাও গোলাগুলির শব্দ শোনার কথা বলেছেন। তবে গুলির শব্দ কোথায় থেকে আসছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দামেস্কে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে তাঁদের সামরিক ইউনিফর্ম খুলে ফেলতে দেখা গেছে।