গাজায় খাবার, গ্যাস, জ্বালানি কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল

ইসরায়েলি বিমান হামলায় জ্বলছে গাজা উপত্যকা। ৮ অক্টোবর
ছবি: এপি

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট আজ সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে। আমরা মানবপশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন। ৭ অক্টোবর
ছবি: এএফপি

ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং এটি ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিসরের সঙ্গে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে। ফলে এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি।

আরও পড়ুন

গাজার আকাশপথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোন কোন ব্যক্তি যেতে পারবেন এবং কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। একইভাবে গাজা সীমান্তে লোকজনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিসর।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার বাসিন্দাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভর করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিদিনকার খাদ্যসহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন।

গাজার একটি ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ৮ অক্টোবর
ছবি: এএফপি

গত শনিবার সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালান হামাস সদস্যরা। তাঁদের ওই হামলায় ইসরায়েলের সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এর জবাবে গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই দুই দিন ধরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে তারা।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৫১ মানুষ।

আরও পড়ুন