ইসরায়েলে রেস্তোরাঁয় তেলাপোকার কারণে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা জারি
অনেকের মধ্যেই তেলাপোকা-ভীতি দেখা যায়। কারও কারও মধ্যে এটা একটু বেশিই। তবে তাই বলে যদি কারও তেলাপোকা–ভীতির কারণে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা জারি করতে হয়, তাহলে সেটিকে বিচিত্র ঘটনাই বলতে হবে। আর এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে ইসরায়েলের শহর তেল আবিবের একটি ক্যাফেতে।
টাইমস অব ইসরায়েল–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবের একটি ক্যাফেতে বসে খাচ্ছিলেন এক নারী। এ সময় তেলাপোকা দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকারে ক্যাফেতে থাকা অন্য অতিথিদের পাশাপাশি আশপাশের দোকানের লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ত্রাসী হামলা ভেবে লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় পদদলিত হয়ে দুজন আহত হন। সন্ত্রাসী হামলার সতর্কসংকেত বেজে উঠলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। তারা হন্যে হয়ে সন্দেহভাজনকে খুঁজতে থাকে। পরে অবশ্য বুঝতে পারে, এই হুলুস্থুল কাণ্ডের নেপথ্যে ছিল একটি তেলাপোকা।
ওই ক্যাফেতে থাকা একজন বলেন, তেলাপোকার ভয়ে ওই নারী খাবারের টেবিল উল্টে ফেলে দেন। এতে অন্যদের মধ্যে হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এটা ছিল আমার জীবনে সবচেয়ে আতঙ্কের ঘটনা।’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকজন চিৎকার করতে থাকে আর দৌড়াতে থাকে। একজন আরেকজনকে পদদলিত করে ছুটতে থাকে তারা। পথে বেশকিছু কাচ ভেঙে পড়ে। কাচের ওপর পড়ে কয়েকজনের শরীর কেটে যায়।
আরেকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় গর্ভের সন্তান ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘যে নারী তেলাপোকা দেখে চিৎকার দিয়েছিলেন, তাঁকে আমি দোষ দিই না। অন্য একটি সাধারণ দেশে বিষয়টি হাস্যরসের সঙ্গে উড়িয়ে দিত।’
ইসরায়েলে সচরাচর প্রায় জায়গাতেই তেলাপোকা দেখা যায়। দেশটিতে বড় ও উড়ন্ত প্রজাতির তেলাপোকাও রয়েছে, যা মানুষের মধ্যে বেশ ভীতি ছড়িয়ে থাকে।তেলাপোকা-ভীতি বেশি হলে, সেটাকে বলা হয় ‘ক্যাটসারিডাফোবিয়া’।