যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাত শেষে উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ওই বাহিনীতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। ওয়াশিংটনের ভাষ্যমতে, সংঘাত শেষে গাজায় আবার হামাসের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ঠেকাতে এবং উপত্যকাটিকে নিরাপদ করতেই এমন পদক্ষেপ চায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই প্রস্তাব মিসর, ইউএই ও মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে দেশ তিনটি চায়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিক যুক্তরাষ্ট্র।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজেদের সেনাদের যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো। যদিও গাজায় কোনো এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে তারা। কারণ, সংঘাত শেষে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্প কোনো বাহিনী আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না ইসরায়েল। আর আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।
এদিকে আরব দেশগুলোকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিলেও এটা পরিষ্কার যে ওই বাহিনীতে কোনো মার্কিন সেনা থাকবেন না। তাই অন্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টির সঙ্গে জানাশোনা আছে এমন এক কর্মকতা বলেছেন, এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবে ওয়াশিংটন। তবে তা বাস্তবায়নের জন্য অনেক কাজ বাকি।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে কার্যকরী ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনের মিত্ররা।