ইসরায়েলে সামরিক কারখানাসহ ৩ অঞ্চলে হামলা, আহত ১১

লেবানন থেকে আসা রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলের একটি বাড়ি। মধ্য ইসরায়েলের তিরা শহরে, ২ নভেম্বর ২০২৪ছবি : রয়টার্স

ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে আজ শনিবার লেবানন থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের উত্তর দিকের হাইফা শহরের কাছে ‘জুভুলান সামরিক কারখানায় একগুচ্ছ রকেট’ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। এর আগে গোষ্ঠীটি তেল আবিবের দক্ষিণে পালমাহিম বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছিল।

আজ ভোরে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি বাড়িতে রকেট আঘাত হানে। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, রকেটের শার্পনেলের আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে তেল আবিবের একটি বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ও উত্তর ইসরায়েলের একটি ‘সামরিক কারখানায়’ হামলার কথা হিজবুল্লাহ বিবৃতি দিয়ে জানালেও মধ্য ইসরায়েলে হামলা নিয়ে কিছু জানায়নি ইরানের সহায়তাপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এদিকে এ হামলা ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স চালিয়েছে কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার পরিস্থিতিকে অবর্ণনীয় বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু যুদ্ধবিমান। এসব অস্ত্র মোতায়েন ইরানকে সতর্ক করার অংশ।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরান, তার মিত্রদেশ অথবা ইরানের বদলে অন্য কোনো দেশ যদি মার্কিন সেনা বা এ অঞ্চলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জনগণকে সুরক্ষিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই মধ্যপ্রাচ্যে এই অতিরিক্ত সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী থাড দেয় যুক্তরাষ্ট্র। রাইডার আরও বলেছেন, আগামী মাসগুলোয় নতুন বাহিনী এসে পৌঁছানো শুরু করবে।

হুঁশিয়ারি খামেনির

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শনিবার সতর্ক করে বলেছেন, বর্বরোচিত হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অবশ্যই কঠোর জবাব পাবে। খামেনি বলেন, ‘ইরান ও অন্য প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল অবশ্যই দাঁতভাঙা জবাব পাবে। এটা শুধু প্রতিশোধের বিষয় নয়, যুক্তিসংগত পদক্ষেপ।’