হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের গার্ড কোরের এক জেনারেল ও পাইলট নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক জেনারেল ও এক পাইলট নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনা এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইরনা জানায়, আইআরজিসির সদস্যরা অতি হালকা জাইরোপ্লেন (একধরনের ছোট হেলিকপ্টার) নিয়ে সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের সিরকান শহরে। নিহত জেনারেলের নাম হামিদ মাজান্দারানি। তিনি গোলেস্তান প্রদেশের নিনেভেহ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। আর নিহত পাইলট হামেদ জান্দাঘি ছিলেন আইআরজিসি স্থল বাহিনীর সদস্য।
দুর্ঘটনাটি কখন ঘটেছে কিংবা দুর্ঘটনার কারণ কী, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে এক হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য নিহত হওয়ার পর এ অভিযান শুরু করা হয়। সুন্নি মতাবলম্বী সশস্ত্র গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
ইরানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে এখন পর্যন্ত ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজনকে হত্যা ও গ্রেপ্তার করেছে।
সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। এটি ইরানের সবচেয়ে অনুন্নত প্রদেশগুলোর একটি।
এ প্রদেশে সংখ্যালঘু বালুচ জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে। ইরানের অধিকাংশ মানুষ শিয়া মতাবলম্বী। কিন্তু বালুচ জনগোষ্ঠীর মানুষ সুন্নি মতাবলম্বী।
ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, আজ সোমবার আইআরজিসির আরেক আহত সেনারও মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন। দক্ষিণাঞ্চলের ফারস প্রদেশে একটি অভিযান পরিচালনার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
গত মে মাসে দেশটির দুর্গম পাহাড়ে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তাঁর সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে থাকা দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।