গাজা খালি করার প্রস্তাব জাতিগত নির্মূল হিসেবে দেখা হবে: মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার পতাকাফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা খালি করতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির যেকোনো প্রস্তাবকে জাতিগত নির্মূল ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে মালয়েশিয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে জানানোর পর গতকাল বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মাতৃভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানো বা বাস্তুচ্যুতির যেকোনো প্রস্তাবের শক্ত বিরোধিতা করছে মালয়েশিয়া। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড জাতিগত নির্মূল এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের একাধিক সনদের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে মালয়েশিয়া।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে কুয়ালালামপুর। ইসরায়েলের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। তবে সংগঠনটির সামরিক শাখার সঙ্গে মালয়েশিয়ার কোনো সংযোগ নেই।

আরও পড়ুন

এদিকে মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী ও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া গতকাল বুধবার জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি কিংবা জনমিতির পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জাকার্তা।

আরও পড়ুন