লোহিত সাগরে সাবমেরিন ডুবে ছয় পর্যটকের মৃত্যু

মিসরের হুরঘাদা পর্যটন শহরের উপকূলের সাধারণ দৃশ্য। এখানেই রাশিয়ার পর্যটনবাহী একটি সাবমেরিন ডুবে গেছে। ২৭ মার্চ ২০২৫ছবি: রয়টার্স

লোহিত সাগরের মিসর উপকূলে একটি পর্যটকবাহী সাবমেরিন ডুবিতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সবাই রাশিয়ার নাগরিক। আজ বৃহস্পতিবার মিসরের পর্যটন শহর হুরঘাদা উপকূলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হুরঘাদায় অবস্থিত রাশিয়ার কনস্যুলেট জানায়, সাবমেরিনটির নাম ‘সিন্দবাদ’। এতে ক্রু ছাড়া রাশিয়ার ৪৫ জন পর্যটক ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁদের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার কনস্যুলেট বলেছে, সাবমেরিনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কাউকে নিজ নিজ হোটেলে এবং কাউকে হুরঘাদায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে অনেক পর্যটকের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার কনস্যুলেট।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারী দল ৪৫ যাত্রীর মধ্য থেকে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে।

লোহিত সাগর প্রবাল প্রাচীর ও সামুদ্রিক জীবনের জন্য বিখ্যাত। এটা মিসরের পর্যটনশিল্পে বেশ আকর্ষণীয়। মিসরে ক্রমে রুশ পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে।

গত নভেম্বরে মিসরে একটি পর্যটক ডাইভিং নৌকা শক্তিশালী একটি ঢেউয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। এতে চার ব্যক্তি মারা যান। ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গত জুনে ঝড়ের কবলে পড়ে আরেকটি নৌকা ডুবে গিয়েছিল বলে তখন জানিয়েছিল, মিসরের পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে এতে হতাহতের খবর জানা যায়নি।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালে পর্যটন খাত থেকে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৪১০ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে মিসর। এটা দেশটির সুয়েজ খাল থেকে আয়ের থেকে দুই গুণের বেশি। চাপের মুখে থাকা অর্থনীতিটির জন্য পর্যটন খাত বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।