বৈরুতের রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো মানুষ, বেকা ভ্যালিতেও হামলা
লেবাননে বেকা ভ্যালিতে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণ লেবানন থেকে হাজার হাজার মানুষ বৈরুতে পালিয়ে এসেছেন। বৈরুতের সড়কগুলো যেন এখন পালিয়ে আসা মানুষদের অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে পরিণত হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক টানা বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
লেবাননে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের উপপ্রধান ইটি হিগিন্স বিবিসি রেডিও ফোরকে অতি সম্প্রতি বলেছেন, হাজারো মানুষ বৈরুতের দক্ষিণের শহরগুলো ছেড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ পার্কে, রাস্তায় অথবা গাড়ির ভেতর ঘুমাচ্ছেন।
শিশুরা ‘ভয়াবহ আতঙ্কগ্রস্ত’ হয়ে আছে বলেও জানান ইটি হিগিন্স। বলেন, কখনো কখনো ভোররাত তিনটার সময়ও বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশ আসে।
বাস্তুহারা এই সব মানুষকে সহায়তা করতে ইউনিসেফ আশ্রয়শিবির পরিচালনা করছে। ইটি হিগিন্স বলেন, ‘পানি, খাবার, কাপড় থেকে শুরু করে তাঁদের সবকিছুরই খুবই প্রয়োজন এবং অতি অবশ্যই একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই।’
পালিয়ে আসা মানুষদের মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে, যাদের সঙ্গে কেউ নেই। তাদের পরিবারের বাকি সদস্যরা হয় মারা গেছেন কিংবা পরিবার থেকে ওই সব শিশু কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই কর্মকর্তা এমন একটি শিশুকে খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন যে শিশুটির পরিবারের বাকি ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার রাতভর হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন। হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার দাবিও করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ এ দাবি করেছে।
আজ সকালে লেবাননে আরও কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আইডিএফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) বেকা এলাকা এবং দক্ষিণ লেবাননের আলাদা আলাদা কয়েকটি এলাকায় হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি অবস্থান লক্ষ্য করে তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে।’
গত সোমবার থেকে লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০০–এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আল–জাজিরা খবর দিয়েছে।