আঞ্চলিক সব প্রতিরোধী শক্তি হিজবুল্লাহর পাশে রয়েছে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক সব প্রতিরোধী শক্তি’ হিজবুল্লাহর পাশে রয়েছে। লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন এমন খবর জানার পর তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

কয়েক দিন ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার রাতভর রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় তারা ১৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এরপর আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিল।

হিজবুল্লাহ লেবাননভিত্তিক সংগঠন হলেও তারা ইরানপন্থী হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলে ইয়েমেনের হুতিসহ আরও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি তেহরানের সমর্থন রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। তবে বর্তমানে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহর সংঘাত চরমে পৌঁছেছে।

আজ এক লিখিত বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, হিজবুল্লাহর উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি করার জন্য ইসরায়েল খুবই নগণ্য। এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে প্রতিরোধী শক্তিগুলো। এই শক্তির শীর্ষে রয়েছে বিজয়ী হিজবুল্লাহ। নিজেদের সবকিছু নিয়ে লেবানন ও হিজবুল্লাহর পাশে গর্বের সঙ্গে দাঁড়ানো সব মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক।

রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল শুক্রবার রাতভর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটি জানায়, হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে সংগঠনটির নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এরপর নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল বাহিনী।

গত সোমবার থেকে দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে দেশটিতে নারী ও শিশুসহ ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ যুদ্ধ হয়েছিল। তারপর থেকে বর্তমান এই সংঘাতকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা হচ্ছে।