বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের সমাধিতে আগুন দিয়েছেন বিদ্রোহীরা
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের সমাধিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বুধবার ধারণ করা এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সামরিক পোশাক পরা বিদ্রোহী যোদ্ধা ও তরুণেরা হাফিজের সমাধি পোড়া দেখছেন।
সিরিয়া যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এএফপিকে বলেছে, হাফিজের সমাধিস্তম্ভে বিদ্রোহীরা আগুন দিয়েছেন। সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের কারদাহা শহরে এ সমাধিস্তম্ভ অবস্থিত। শহরটি আলাওতি সম্প্রদায়–অধ্যুষিত। বাশার আল–আসাদ এ সম্প্রদায়ের সদস্য।
এএফপির ভিডিওতে দেখা গেছে, সমাধিস্থলের কিছু অংশ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাফিজের সমাধিতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং সেটি ধ্বংস করা হয়েছে।
হাফিজের সমাধিস্থলটি একটি পাহাড়ের ওপরে সুবিশাল উঁচু কাঠামোয় তৈরি। এটি অনেক খিলানের সমাহারে তৈরি একটি জটিল স্থাপত্য। এর বাইরের অংশ পাথরে খোদাই করে অলংকৃত করা হয়।
এখানে আসাদ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের সমাধি রয়েছে। এসব সমাধির মধ্যে বাশারের ভাই বাসালের সমাধি রয়েছে। তাঁকেই ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছিল। কিন্তু ১৯৯৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গত ২৭ নভেম্বর উত্তরাঞ্চলের ইদলিব প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে বাশার আল–আসাদ সরকারবিরোধী অভিযান শুরু করেন। চোখের পলকে তাঁরা আলেপ্পো, হামা ও হামস শহর দখল করে ১২ দিনের কম সময়ে ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দামেস্ক দখল করেন। এতে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের প্রায় ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর মধ্যে বাশার আল–আসাদ ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ২৪ বছর। এ দুই যুগের প্রায় ১৪ বছরই ছিল গৃহযুদ্ধ।
দামেস্ক পতনের পর বাশার আল–আসাদ ও তাঁর পরিবার একটি উড়োজাহাজে করে রাশিয়ায় পালিয়ে যায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় অনুমোদন করেছেন।