গাজার ৭ লাখের বেশি শিশু ঘরছাড়া: ইউনিসেফ
জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ বলেছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজার সাত লাখের বেশি শিশু ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানায় জাতিসংঘের সংস্থাটি। খবর আল-জাজিরা।
ইউনিসেফের পোস্টে বলা হয়েছে, ‘গাজায় সাত লাখের বেশি শিশু ঘরছাড়া হয়েছে। তারা সবকিছু ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।’
ইউনিসেফ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এ অঞ্চলে মানবিক সহায়তার চাহিদা বেড়ে গেছে। তাদের টেকসই ও নির্বিঘ্ন সহায়তার জন্য দরকার যুদ্ধরিবরতির। সেই সঙ্গে যেসব শিশুকে জিম্মি করা হয়েছে, তাদের নিরাপদে মুক্তি দাবি করেছে ইউনিসেফ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও জ্বালানিসংকটের কারণে ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানিসংকটে জেনারেটর বন্ধ থাকায় সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ৩৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত নবজাতকও রয়েছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এবং যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গাজায় হতাহতের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত শনিবার পর্যন্ত দেওয়া তথ্যে গাজায় ১১ হাজারের বেশি নিহতের কথা জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে আট হাজারই নারী ও শিশু।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আল শিফা হাসপাতালের ফটকে গিয়ে পৌঁছেছে। এ হাসপাতালের অনেক রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
আল শিফা হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মোহামেদ তাবাশা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে বলেন, ‘গতকাল আমার এখানে ৩৯টি শিশু ছিল। আজ আছে ৩৬ শিশু। আমি জানি না, এরা কতক্ষণ এখানে টিকতে পারে। আজ কিংবা এক ঘণ্টার মধ্যে হয়তো আরও দুই শিশুকে হারাতে পারি।’