গাজার বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ: ব্লিঙ্কেন
ইসরায়েল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ইসরায়েলের শুধু আত্মরক্ষার অধিকারই নয়, একই সঙ্গে আত্মরক্ষার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে তাদের।
শুক্রবার তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন এক হামলার জেরে যুদ্ধ শুরুর পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয় ইসরায়েল সফর।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘হামাসের হামলার কারণে যেসব বেসামরিক নাগরিক যুদ্ধের মধ্যে পড়েছেন, তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেসামরিকদের সুরক্ষায় যা করা দরকার, সবই করতে হবে এবং যাঁদের জরুরি (ত্রাণ) সহায়তা প্রয়োজন, তাঁদের কাছে তা যেতে দিতে হবে। কারণ, গত ৭ অক্টোবরের ঘটনার জন্য (ইসরায়েলে হামাসের হামলা) তাঁরা কোনোভাবে দায়ী নন।’
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের শুধু আত্মরক্ষার অধিকারই নয়, আত্মরক্ষার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে ৭ অক্টোবর যেন আর কখনোই না ঘটে।
ইসরায়েল সফর শুরু করার ঠিক আগমুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘(ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে) গাজার নারী, পুরুষ ও শিশুদের রক্ষায় কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বা নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। এটা এমন এক বিষয়, যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ব্লিঙ্কের এ সময় আরও বলেন, যখন দেখি যে ফিলিস্তিনি কোনো শিশুকে ধসে যাওয়া ভবনের স্তূপ থেকে বের করে আনা হচ্ছে, তখন আমিও মর্মাহত হই।’
ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর পাশাপাশি হামাস যে ২৪১ জনকে জিম্মি করে রেখেছে, তাদের মুক্তির ব্যাপারে কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের মুক্ত করে আনার জন্য আমরা কতটা কী করতে পারি, তার সব ধরনের চেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধে বিরতি দেওয়ার পক্ষে কথা বলেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের একটা বিরতি দরকার।’