সিরিয়ায় ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না তুরস্ক

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে, ৪ এপ্রিল ২০২৫ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় গত ডিসেম্বরে নতুন শক্তি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির সামরিক স্থাপনায় নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটা দেশটির নতুন সরকারের হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতাকে খর্ব করছে। প্রতিবেশী তুরস্ক সিরিয়ার নতুন সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিন্তু সেখানে নিয়মিত হামলা চালানো সত্ত্বেও ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না তুরস্ক।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এ কথা বলেন। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মনে করে আঙ্কারা।

এক প্রশ্নের জবাবে ফিদান বলেন, দামেস্কের নতুন প্রশাসন যদি প্রতিবেশী ইসরায়েলের সঙ্গে ‘নির্দিষ্ট কিছু বোঝাপড়া’ চায়, তা নিয়ে তুরস্কের কোনো আপত্তি নেই। কারণ, সেটাকে সিরিয়ার নিজস্ব বিষয় বলে মনে করেন ফিদান।

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ২০২৩ সালে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের হামলার কঠোর সমালোচনা করে আসছে। তুরস্কের অভিযোগ, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) যৌথভাবে একটি মামলা করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সব বাণিজ্য স্থগিত করেছে।

ফিলিস্তিনদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।

মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে যে বৈরিতা চলছে, সিরিয়াতেও তার আঁচ লাগছে। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এসব হামলাকে সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অনধিকার প্রবেশ বলে মনে করে তুরস্ক। তবে ইসরায়েল বলে আসছে, তারা সিরিয়ায় কোনো বৈরী শক্তির কার্যক্রম সহ্য করবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানে হামলা চালানোর হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মতবিরোধ মিটমাট করার জন্য কূটনীতি বাড়াতে হবে। নিজের প্রতিবেশীর ওপর কেউ হামলা করুক, তা চায় না আঙ্কারা।