জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চাইলেন বাইডেন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠাতে দেরি হওয়ায় ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে তিনি নতুন করে সাড়ে ২২ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নতুন প্যাকেজে গোলাবারুদ এবং বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার দুই নেতার বৈঠকে এসব কথোপকথন হয় বলে জানায় বিবিসি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বে মিত্র বাহিনীর নরম্যান্ডি উপকূলে অবতরণ দিবসের ৮০তম বার্ষিকী (দিনটি ডি-ডে নামে পরিচিত) উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে জড়ো হয়েছিলেন।

১৯৪৪ সালের ৬ জুন জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে তাড়াতে মিত্র বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সেনা সমুদ্র ও আকাশ পথে আক্রমণ করেছিলেন। ওই সব সেনাদের খুব বেশি জন আর বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছেন, তাঁদের বেশির ভাগের বয়স ১০০ বছরের বেশি। তাঁদের সম্মান জানাতেই বিশ্বনেতারা নরম্যান্ডিতে জড়ো হয়েছিলেন।

সেখানে জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপকালে সামরিক সহায়তা দিতে দেরি হওয়ার দায় মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন রিপাবলিকান নেতার ওপর চাপিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন জেলেনস্কিকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আপনার পাশে থাকবে। আপনি মাথা নত করেননি, কোনোভাবে পিছু হটেননি। আপনি লড়ে যাচ্ছেন, এটা অসাধারণ, একেবারেই অসাধারণ।’

আরও পড়ুন

জবাবে জেলেনস্কি তাঁর দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা উল্লেখ করেন। বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনারা যে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন, তার ওপর আমরা নির্ভর করতে পারি।’
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে করে বাইডেন নরম্যান্ডিতে মার্কিন সেনাদের যুদ্ধস্মৃতিজড়িত পয়েন্ট ডি হকে এক আবেগময় ভাষণ দেন।

আরও পড়ুন

১৯৪৪ সালের ৬ জুন মিত্রবাহিনীর যে সেনা সদস্যরা শহীদ হয়েছেন, বাইডেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করে বলেন, ‘ইউরোপে পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র রুখে দাঁড়াক, এটা যে তাঁরাও চাইতেন, সে ব্যাপারে কি কোনো সন্দেহ আছে। তাঁরা আমাদের কর্তব্য পালন করতে বলেছেন।’

বাইডেন বলেন, ‘সে কর্তব্য হচ্ছে, আজকের দিনে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং দেশে ও বিদেশে যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’