২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মোদিকে চার প্রশ্ন রাহুলের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

পার্লামেন্টে বিতর্ক ও সংবাদ সম্মেলনের পর রাফালে যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে চার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস দলের প্রধান রাহুল গান্ধী। গতকাল বুধবার টুইটে রাফালে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ও দাম নিয়ে মোদিকে চারটি প্রশ্ন করেন রাহুল।

রাহুল টুইটে এও লেখেন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো সাহস নেই মোদির। রাফালে ইস্যুতে মুখোমুখি ২০ মিনিট মোদির সঙ্গে কথাও বলবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাহুল।

টুইটে মোদিকে করা রাহুলের চার প্রশ্ন হলো—১. ১২৬টির বদলে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেন? ২. প্রতিটি যুদ্ধবিমানের জন্য ৫৬০ কোটির বদলে ১ হাজার ৬০০ কোটি রুপি কেন? ৩. এইচএএলের বদলে এএ কেন? ৪. মোদি কি এগুলো দেখাচ্ছেন? নাকি এই রাফালেগুলো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে?

প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারাম অবশ্য রাহুলের পাল্টা টুইটে লিখেছেন, ফেল করা একজন ছাত্র ক্লাসের বাইরে থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন।

ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমান কেনাবেচার প্রসঙ্গটি বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। 

বিরোধীদের অভিযোগ, চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি পক্ষপাতিত্ব করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিবর্তে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাকে। সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের আবেদন, এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। অবশ্য রাফালে চুক্তি নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত। তদন্তের দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি অনিল আম্বানির সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে দাসোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, তাও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী অরুণ শৌরী, যশোবন্ত সিনহা এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

রাফালের প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসো তার ‘অফসেট’ পার্টনার হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতীয় শিল্পপতি অনিল আম্বানির এক সংস্থাকে। অভিযোগ, সরকারি সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডকে (হ্যাল) বঞ্চিত করে আম্বানির সংস্থার সঙ্গে দাসোকে চুক্তিবদ্ধ হতে প্রভাব খাটিয়েছে মোদি সরকার।