মোদি হটানোর লক্ষ্যে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ
মোদিকে হটানোর লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল দাবি করেছে, এই সমাবেশে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মানুষ যোগ দেবে।
গত বছরের ২১ জুলাই কলকাতায় শহীদ দিবসের দিনে তৃণমূল আয়োজিত এক মহাসমাবেশ থেকে মোদিকে হটানোর লক্ষ্যে এই মহাসমাবেশ করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা।
ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর মোদিকে রাখা হবে না গদিতে। বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার মুখোশ খুলে গেছে। দেশ শাসনে অযোগ্য হয়েছে তারা। সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই এ দেশে । তাই উনিশে বিজেপি বিরোধী সরকার আসছে কেন্দ্রে। বিজেপি গত নির্বাচনে ২৮২টি আসন পেলেও এ বছর বিজেপি ১০০ আসনও পাবে না। আগামীর লোকসভা নির্বাচনে আর জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বিজেপি।
এবার সেই ডাক জোরদার করার জন্য কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মহাসমাবেশ। সেই সমাবেশকে সফল করার জন্য মমতা কোমর বেঁধে নেমেছেন। এক মঞ্চে ওঠাচ্ছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল আর নেতাকে।
গতকাল শুক্রবার কলকাতায় এক সমাবেশে মমতা বলেছেন, ওই সমাবেশে বিজেপি বিরোধী ২০ নেতাসহ আরও বহু নেতা যোগ দেবেন। এঁদের মধ্যে থাকবেন কর্ণাটকের জনতা দল (সেকুলার) নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, এই দলেরই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের অন্যতম নেতা ও লালু পুত্র তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের নেতা এমকে স্টালিন, বিহারের লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শারদ যাদব, ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির বিদ্রোহী নেতা যশোবন্ত সিনহা ও শত্রুঘ্ন সিনহাসহ বিজেপি বিরোধী অন্য দলের নেতারা। সব মিলিয়ে ওই দিন ২২টি বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের যোগ দেওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ যোগ দেবে কিনা, সে ঘোষণা করা হয়নি। তবে বাম দল ঘোষণা দিয়েছে তারা কেউ থাকবেন না মহাসমাবেশে।
এদিকে এই সমাবেশকে সামনে রেখে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৈরি করা হচ্ছে তিনটি মঞ্চ। একটিতে বসবেন মমতাসহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা ও মন্ত্রীরা। আরেকটিতে বসবেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা। তৃতীয় মঞ্চে মঞ্চে থাকবেন সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনসহ শিল্পীরা।
বিভিন্ন রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা, কর্মীদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য থাকছে ১০০টি ক্যাম্প। তাঁদের থাকার জন্য থাকছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ মিলনায়তন, সল্টলেক পৌরসভার খেলার মাঠ ও বিভিন্ন ধর্মশালা। দুপুর ১২টায় শুরু হবে সমাবেশ। আর এই সমাবেশকে সফল করার জন্য থাকবে তৃণমূলের ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এদিন পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতার যানবাহন।
এদিকে তৃণমূল নেতারা বলেছে, , ব্রিগেড সমাবেশের দিন তৃণমূল কর্মীরা মমতাকে ভারতের আগামীর প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে স্লোগানও তুলবে।