মালদহ থেকে প্রচার শুরু রাহুলের
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। আজ শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মালদহের চাঁচল থেকে এই প্রচার শুরু করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আগামী এপ্রিল ও মে মাসে মোট সাত দফায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বেলা সাড়ে তিনটায় রাহুল গান্ধী চাঁচলের কলাবাগান ময়দানে কংগ্রেস আয়োজিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন। এতে তিনি বলেন, ‘এখন এই বাংলায় মমতার একনায়কতন্ত্র চলছে। এখানে সুশাসন নেই। মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। কথা বলতে পারছে না। এ রাজ্য থেকে সিপিএম গেছে। কিন্তু তৃণমূল এলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
রাহুলের ভাষ্য,পশ্চিমবঙ্গে মানুষ এখন তৃণমূলের হাতেই নির্যাতিত হচ্ছে। কথা বলতে পারছে না। বাম আমলের চেয়ে এখন এখানের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তাই আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসকে এই রাজ্যে জয়ী করতেই হবে।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বাংলায় যেমন মমতার একনায়কতন্ত্র চলছে, তেমনি দিল্লিতে চলছে মোদির একনায়কতন্ত্র। তাই দেশকে রক্ষা করতে হলে মোদিকে হঠাতে হবে। কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মোদি ধনীর পকেটে টাকা দেন, আমরা ক্ষমতায় এলে গরিবের পকেটে টাকা দেব। মোদি ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চাকরি দিতে পারেননি। আমরা ক্ষমতায় এলে বেকারদের চাকরি দেব। জিএসটির সংস্কার করব। কৃষিঋণ মওকুফ করব। ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে আমরা ক্ষমতায় এসে মওকুফ করে দিয়েছি কৃষিঋণ। আমরা ক্ষমতায় এলে বেসরকারীকরণ বন্ধ করব।’
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেন, মোদি সাধারণ মানুষের টাকা চুরি করেছেন। এ সময় তিনি নরেন্দ্র মোদিকে ‘চোর’ সম্বোধন করে বলেন, রাফাল কেনার নামে ৩০ হাজার রুপি চুরি করে শিল্পপতি অনিল আম্বানির হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। মোদি শুধু মিথ্যে কথা বলেন। তাঁর দেশভক্তি লোক দেখানো। তিনি নীরব মোদি, মেহুলদের চৌকিদার।
সমাবেশে রাহুল গান্ধী উত্তর মালদা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, এই আসনের বর্তমান কংগ্রেস সাংসদ একজন প্রতারক। প্রতারণা করে মানুষের মন জয় করতে পারবে না। মানুষ এবার এর জবাব দেবে। প্রসঙ্গত, এই উত্তর মালদহ আসনের বর্তমান সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে একই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।
রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, এবারের নির্বাচন ভাবাদর্শের লড়াইয়ের নির্বাচন। বিজেপি-আরএসএস বনাম কংগ্রেসের লড়াই। এই লড়াইয়ে কংগ্রেসকে জিততে হবে। চাঁচলের এই সমাবেশে আজ প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। দুপুরে ভিড় এতটা বেড়ে যায় যে মানুষ মাঠের ব্যারিকেড ভেঙে অতিথিদের আসনের কাছে চলে আসেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি সামলে নেন।