পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন: প্রার্থীরা কে কেমন
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এ দফায় লড়ছেন ৩০৬ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ২১ শতাংশ কোটিপতি। ফৌজদারি মামলা আছে ২৮ শতাংশের বেশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। নিরক্ষর থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর—নানা যোগ্যতার প্রার্থী রয়েছেন এ দফায়।
আট দফার এই নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ১৭ এপ্রিল।
কাল রাজ্যের চার জেলার ৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। জেলা চারটি হলো উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর দিনাজপুর। মূল লড়াইতে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল, বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম দল।
এবারের এই ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৬ জন কোটিপতি। এই তালিকায় তৃণমূলের রয়েছে ২৮ জন, বিজেপির ১৯ জন এবং কংগ্রেসের ২ জন। এই প্রার্থীর মধ্যে ৫ কোটির ওপর সম্পদের প্রার্থী রয়েছে ১০ জন।
আবার কোটিপতি ৬৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক হলেন উত্তর দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা. অর্চনা মজুমদার। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৮ কোটি ৫৪ লাখ রুপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির নির্দল প্রার্থী বিনয় কুমার দাস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২২ কোটি ৩৪ লাখ রুপি। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বিজেপি প্রার্থী অমিত কুমার কুণ্ডু। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৯ লাখ রুপি।
ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফরমস বা এডিআর এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ যৌথভাবে ষষ্ঠ দফার ৪৩ আসনে অংশগ্রহণকারী ৩০৬ জন প্রার্থীর ওপর এক সমীক্ষা চালিয়ে বলেছে, ৩০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে ঝুলছে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা। এর মধ্যে ৭১ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগের মামলা। এডিআর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা বা অ্যাফিডেভিট পর্যালোচনা করে এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আজ সেই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ফৌজদারি মামলার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপির ২৫ জন, তৃণমূলের ২৪ জন, সিপিএমের ১৪ জন এবং কংগ্রেসের ৫ জন প্রার্থী। এ ছাড়া বিজেপির ২০ জন, তৃণমূলের ২০ জন, কংগ্রেসের ১২ জনের বিরুদ্ধ ঝুলছে গুরুতর অপরাধের মামলা। নারী নির্যাতনের মামলা ঝুলছে ১৯ জনের বিরুদ্ধে। একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। ৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলা, ২২ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা। এই ৪৩ আসনের মধ্যে ১২টি রেড অ্যালার্ট আসন। যেখানে তিনজন বা তার বেশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকে, সেই আসন বা কেন্দ্রকে রেড অ্যালার্ট কেন্দ্র বলা হয়।
সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এবারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১২৯ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। ১৬৫ জন প্রার্থী হলেন স্নাতক বা তার বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন, চারজন ডিপ্লোমাধারী, সাতজন সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন এবং একজন নিরক্ষর প্রার্থী।