নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে আবারও মাঠে নামছে মোদিবিরোধিরা
প্রায় দেড় বছর কৃষকদের টানা আন্দোলনের পর ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কৃষকেরা সাফল্য অর্জন করায় এবার আশার আলো দেখছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বাতিলের দাবিতে দিল্লি ও কলকাতায় আন্দোলনকারীরা।
দিল্লির শাহিনবাগ সিএএ এবং এনআরসি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী দলের নেতা মহম্মদ আহমেদ এবং কলকাতার পার্ক সার্কাসের নেতা ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘এবার আমরা নতুন করে দেশজুড়ে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলন শুরু করব।’
২০১৯ সালের শেষ দিকে কলকাতা ও নয়া দিল্লিতে সিএএ এবং এনআরসি বাতিলের দাবিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির শাহিনবাগ আর কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে পরিচালিত হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ববিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলন ভারতজুড়ে তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলন চলাকালীন ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। কিন্তু ২০২০ সালের শুরুর দিকে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়।’
এরপর মোদি সরকারের কৃষি আইন জারির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে পাঞ্জাবে শুরু হয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন। একপর্যায়ে গোটা ভারতের কৃষকেরা আইন বাতিলের আন্দোলনে শামিল হন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রায় দেড় বছর পরে গত শুক্রবার কৃষকদের কাছে নতিস্বীকার করে এই আইন বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তা–ই নয়, তিনি এই আইন জারির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।