দাউদ ইব্রাহিম আত্মসমর্পণ করতে চান!
মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম ভারতে ফিরতে চান। ভারতে ফিরে করতে চান আত্মসমর্পণও। তবে এ জন্য তিনি কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। দাউদের আইনজীবী শ্যাম কেসওয়ানি এসব কথা জানান।
শ্যাম কেসওয়ানি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল ইব্রাহিম কাসকরের আইনজীবী। তিনি একই সঙ্গে দাউদেরও আইনজীবী বলে দাবি করেন।
মহারাষ্ট্রের থানে আদালত চত্বরে মঙ্গলবার দাউদের আত্মসমর্পণ সম্পর্কে শ্যাম কেসওয়ানি বলেন, আত্মসমর্পণের ব্যাপারে দাউদ ইব্রাহিম কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্য অন্যতম হলো তাঁকে মুম্বাইয়ের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত আর্থার রোড কারাগারে রাখতে হবে।
দাউদ ইব্রাহিম একই শর্ত কয়েক বছর আগে রাজ্যের কেন্দ্রীয় সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট আইনজীবী রাম জেঠ মালানির মাধ্যমে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত সরকার তখন তা নাকচ করে দিয়েছিল। কারণ, ভারত সরকার তাঁকে ফিরিয়ে আনতে কোনো ধরনের শর্ত আরোপে যেতে চায় না।
মুম্বাইয়ের কড়া নিরাপত্তায় আর্থার রোডের ওই কারাগারের ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার দায়ে অভিযুক্ত আজমাল কাসাবকে রাখা হয়। পরে বিচারে কাসাব দোষী সাব্যস্ত হলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে বলেছেন, দাউদ ইব্রাহিমকে যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে সে ছয় মাস পর ঠিক আগের মতোই অপরাধ করে বেড়াবে। তিনি অভিযোগ করেন, দাউদ কেবল দেশে ফিরে আসতে চান না; তিনি মোদি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ভারতে স্থায়ীও হতে চান।
তবে মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনাপ্রধান আগে একসময় বলেছিলেন, দাউদ ইব্রাহিম অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি মৃত্যুর আগে শেষনিশ্বাস ফেলতে ভারতে আসতে চান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ের ১৩টি স্থানে বিস্ফোরণ হয়। এতে সাড়ে তিন শ সাধারণ মানুষ নিহত হয়। ভারতের পুলিশের ধারণা, এ বোমা হামলায় দাউদের হাত ছিল। এরপর থেকেই তাঁকে ধরার জন্য খুঁজছে ভারতের পুলিশ। তবে পুলিশ বলে আসছে, দাউদকে পাকিস্তান সরকার আশ্রয় দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তান থেকে এখনো তাঁর অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে দাউদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারপোলও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।