তিব্বতের ধসে আতঙ্কিত আসাম
ধসে থমকে গেছে তিব্বত থেকে নেমে আসা নদীর যাত্রাপথ। এর জেরে বন্যার আশঙ্কায় ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে জারি করা হয়েছে বিপৎসংকেত। পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) জওয়ানদের।
তিব্বতের ইয়ার্নলু জাংবো নদী ভারতের অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত। আসামে ব্রহ্মপুত্র হয়েছে এই নদী, গেছে বাংলাদেশেও।
ভূমিধসে তিব্বতে আটকে পড়েছে ইয়ার্নলু জাংবোর যাত্রাপথ। চীন সরকার ভারতকে এই খবর জানাতেই শুরু হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন(সিডব্লিউসি) যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতির মোকাবিলায় নেমেছে।
ধস কাটিয়ে নদীর গতিপথ স্বাভাবিক করা হলেই বন্যার আশঙ্কা রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে। তাই ইতিমধ্যেই কলকাতা ও কটক থেকে ৩২ কোম্পানির এনডিআরএফের জওয়ানদের নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রশিক্ষিত এই বাহিনীর ১৪ কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচলে। বাকি ১৮ কোম্পানি আসামে। ইতিমধ্যেই পূর্ব সিয়াং জেলার ৬ হাজার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিয়াং নদী বা তার আশপাশে সাধারণ মানুষের যাতায়াতও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল গুয়াহাটিতে গতকাল শনিবার রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার নজর রাখছে। তবে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সিডব্লিউসি সূত্রে খবর, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দেই রয়েছে সিয়াং বা ব্রহ্মপুত্র; বরং কিছুটা পানি কমেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সচেষ্ট রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
অবিলম্বে ধস কাটিয়ে ইয়ার্নলু জাংবো স্বাভাবিক ছন্দে না ফিরলেও বিপদ রয়েছে। কারণ ব্রহ্মপুত্র বা পদ্মার পানির মূল উৎসই হচ্ছে এ নদীটি। তাই প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা তুঙ্গে।