কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেকোনো দলকে স্বাগত জানাবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। বুধবার জোটের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটগতভাবে নির্বাচন করেছে ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরদিন এই বৈঠকে বসেছিলেন জোট নেতারা।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, এবারের জনরায় এসেছে মোদির বিরুদ্ধেই। মোদি ও তাঁর রাজনীতির ধরনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে জনগণ। নৈতিক বড় পরাজয়ের পাশাপাশি এটা তাঁর ব্যক্তিগত পরাজয়ও। এর পরও তিনি জনরায় উপেক্ষা করার জন্য বদ্ধপরিকর।
সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে কি না, তা খুঁজে দেখা ও জোটের ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণের জন্য এই বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। সরকার গঠনের জন্য একসময়কার মিত্র বিহারের মুখমন্ত্রী ও জেডি–ইউ নেতা নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের টিডিপির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে কি না, এটাও ছিল আলোচনার বিষয়।
ভারতের ৫৪৩ আসনের লোকসভায় এবার কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ২৯২ আসন। এর মধ্যে বিজেপির আসন ২৪০টি। সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ আসন। এদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৪ আসন। বিজেপিকে সরকার গঠন করতে হলে প্রধান দুই জোট শরিক জেডিইউ ও টিডিপির সমর্থন প্রয়োজন। এর মধ্যে আলোচনা উঠেছে সরকার গঠন করতে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বৈঠকের শুরুতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেকোনো দলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ইন্ডিয়া জোট।’ এ সময় জোট শরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ইন্ডিয়া জোটের সব শরিককে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা দারুণভাবে লড়েছি। আমরা লড়াই করেছি একসঙ্গে ও অটলভাবে।’
জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের জোটের প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেওয়ায় ইন্ডিয়া জোট ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিজেপি এবং তাঁদের ঘৃণা ও দুর্নীতির রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর জবাব হলো এই জনরায়। একই সঙ্গে এটা ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও স্বজনতোষী পুঁজিবাদের বিরুদ্ধেও জনরায়। মোদির নেতৃত্বে বিজেপির ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’